২০২০ এ এসে খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া ফলোইং তৈরি করার ০৬ টি দারুন উপায়
যখন আপনি প্রথমবারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরু করতে যাচ্ছেন ,তখন মনে হতেই পারে যে একটি শক্ত ফলোইং বেসড তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। আপনি ইন্টারনেট এ এই বিষয়ে যে সকল টপিক বা কৌশল পাবেন তাতে খুব সহজেই পুরো বিষয়টি আয়ত্ত করে ফেলতে পারবেন তবে আমরা এমন কিছু কৌশল পেয়েছি যা সবসময়ই সফল ছিল এবং আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ফলোইং তৈরি করতে সহযোগিতা করবে।
ছোট করে শুরু করুন
অনেক ইকমার্স সাইটগুলি মনে করে যে তাদের প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেই থাকা দরকার এবং তারা প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যই কনটেন্ট তৈরি করা নিয়ে নিজেদেরকে ব্যাস্ত করে রাখে। কিন্তু সব প্লাটফর্ম এ চেষ্টা করার আগে অবশ্যই উচিৎ যে, একটি বা দুটি প্লাটফর্ম বাছাই করা যেখানে আপনার অডিয়েন্স খুঁজে বের করতে পারবেন খুব সহজেই এবং তাদের অপটিমাইজ করতে পারবেন। যদি এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম থাকে যাতে আপনি রেগুলার নাহ বা হতে পারছেন না ,সেটি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এরপর আপনি যখন একজন সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট হায়ার করতে পারবেন তখন একসাথেই কনটেন্ট এবং প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজ করতে পারবেন কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই।
আপনার বিজনেস প্রোফাইলটি কমপ্লিট করে রাখুন
আপনি কোন কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে আপনার প্রোডাক্ট সেল করার জন্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জরুরি নয়,বরং এই বিষয়টি নিশ্চিত হন যে, আপনার পুরো প্রোফাইল এবং বিজনেস প্রোফাইলটি সম্পূর্ণ সেট করা হয়েছে। আপনার ফেইসবুক এর এবাউট অপশনটি ফিলাপ করা কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের এবাউট আস অপশনের মতোই গুরুত্ব পূর্ণ। অনলাইন থেকে আরও ভালো আউটপুট এর জন্যে দুটো জায়গায়ই একই কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার সোশ্যাল প্রোফাইলগুলো কিন্তু এসইও অনুশীলনের জন্যে আরেকটি ভালো মাধ্যম।
সামঞ্জস্য পূর্ণ এবং কোয়ালিটি কনটেন্ট প্রোভাইড করুন
অনলাইনে যখন একটি অডিয়েন্স বিল্ড করার কথা আসে, তখন অবশ্যই কোয়ান্টিটির চেয়ে কোয়ালিটি এবং তার ধাবাহিকতাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। একটি ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরির জন্য আপনাকে অবশ্যই অডিয়েন্স এর সামনে নিয়মিত হতে হবে। যখন আপনার গ্রাহকরা আপনাকে নিয়মিত অনলাইন এ দেখেন ,তখনি আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস এবং সচেতনতা তৈরি হওয়া শুরু হবে। এটাই আপনার অনলাইন ফলোয়িং তৈরি করার মুখ্য বিষয়।
কখনোই ভুলবেননা – প্রতিদিন একাধিক সময়ে কোয়ালিটি কনটেন্ট পোস্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কারণ কোয়ালিটি সবসময় আপনাকে কোয়ান্টিটি এর থেকে এগিয়ে রাখবে।
এনগেইজ ইউর অডিয়েন্স
এটি আপনার কাছে সহজ বলে মনে হতে পারে তবে আপনার অডিয়েন্সের প্রতিক্রিয়া আপনাকে অনলাইনে আপনার ব্রান্ডটিকে স্থায়ী ভাবে এগিয়ে নিতে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে। নিয়মিত ভাবে আপনার অডিয়েন্স এর সাথে এনগেজ থাকার কিছু উপায় –
- তাদের কমেন্টে রিপ্লাই করুন।
- আপনাকে ট্যাগ করা পোস্ট গুলো তে কমেন্ট করুন।
- তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।
সোশ্যাল মিডিয়া মানেই সামাজিক ভাবে আচ্ছন্ন রাখা । তাই আপনি যত বেশি অডিয়েন্সদের সাথে এনগেজ থাকবেন ততবেশি তাদের আপনার চারপাশে কানেক্ট রাখতে পারবেন এবং এটা আপনাকে আপনার ব্র্যান্ড ফলোইং বাড়াতে সহযোগিতা করবে।
ফলো করুন ,কানেক্ট থাকুন এবং আপনার নিশ ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে এনগেজ হোন
আপনার টার্গেট নিশটি যত বড় বা ছোট হোকনা কেন সেটা মুখ্য বিষয় নয় বরং তারা ইনফ্লুয়েন্সার বা মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কানেক্ট থাকতে খুব বেশি পছন্দ করে।
আপনার নিশ নিয়ে ভালো ভাবে রিসার্চ করুন এবং নিশ বেসড ইনফ্লুয়েন্সারদের ফলো করুন। তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করুন অথবা তাদের পোস্টে কমেন্টস করুন। এছাড়াও আপনি চাইলেই তাদের কনটেন্ট আপনার প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এতে করে তারা অনেকেই আপনাকে ফলো ব্যাক করতে পারে। এভাবে আপনি যখন আপনার অডিয়েন্স এবং আপনার নিশের ইনফ্লুয়েন্সার দের সাথে কানেক্ট থাকবেন , এতে করে আপনার ব্রান্ডটিকে টার্গেট অডিয়েন্স এর মাধ্যমে অনেক বেশি স্বীকৃত করে তুলতে পারবেন। যদি আপনি নিশ্চিত না হয়ে থাকেন যে আপনার নিশ ইনফ্লুয়েন্সার করা, আপনি চাইলেই BuzzSumo নাম এই টুলটি ব্যবহার করে আপনার ইন্ডাস্ট্রি বেসড ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে বের করতে পারবেন।
অডিয়েন্সদের গিভওয়ে দিন
সোশ্যাল মিডিয়া ফলোইং বাড়ানো এবং অডিয়েন্স এনগেজ বাড়ানোর অন্যতম একটি সহজ মাধ্যম হল গিভওয়ে এবং এটি অবশ্যই আপনার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটিজির একটি পার্ট হওয়া উচিত। আপনার প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পণ্যটিতে অফার দিন অথবা বড় ডিসকাউন্ট এনাউন্স করুন। এছাড়া আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সেরা ডিজাইনটি ভাগ্যবান বিজয়ীকে পুরুস্কৃত করুন।
গিভওয়ে কেমন হতে পারে বা কিভাবে শুরু করতে পারেন তার কিছু টিপস শেয়ার করা হলো –
- আপনার গিভওয়ে পছন্দ করে এমন বন্ধুকে ট্যাগ করুন।
- আপনার পেজে লাইক দিতে বলুন
- আপনার পোস্টে কমেন্ট করান।
অডিয়েন্স সবসময় অনলাইন এ কোনো কিছু জেতার সুযোগ খুব পছন্দ করেন এবং এটিও অনলাইনে ফলোয়ার্স বাড়ানোর অন্যতম একটি উপায়। এরপর আপনার বিজয়ীকে উৎসাহ দিন এবং অবশ্যই যেন তিনি একটি রিভিউ বা কমেন্টস করেন গিফ্টটি গ্রহণের পরেই। এটি খুবিই সহজ একটি উপায় যাতে করে আপনি আপনার ব্র্যান্ড সচেতনতা ও বিশাস বাড়াতে পারবেন।
ইকমার্স ব্যবসায়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একদম অনিবার্য।ব্র্যান্ড সচেতনতার জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার গ্রাহকরা চায় আপনাকে অনলাইনে খুঁজে পেতে। তাই আপনার ওয়েবসাইট এ , আপনার ইমেইল এ বা যেকোনো ক্রস প্রমোশনে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া লিংকগুলো শেয়ার করতে ভুলবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটিজি গুলো কার্যকর হতে হয়তো বেশ কিছুটা সময় নেয় কিন্তু নিশ্চিত থাকুন এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে রেভিনিউ এনে দিবে।
আরো সোশ্যাল মিডিয়া টিপস প্রয়োজন ? চেক করুন ২০২০ এর শীর্ষে থাকা স্পেশাল ১২টি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ডস