আপনার ফেসবুক পেজ কনভার্ট না হওয়ার ৮ টি কারণ
খুব বেশি দিন আগে নয়, ফেসবুক পেজগুলো ফ্যানসদের সাথে সিম্পলি কানেক্ট হওয়া এবং এনাউন্সমেন্ট শেয়ার করে নেওয়ার সহজ উপায় ছিল।আজ, ফেসবুক পেজগুলো ভিজিটর কনভার্ট এবং টপ লিড অর্জনের একটি সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য কথায়, আপনার ফেসবুক পেজটি পাওয়ারফুল বিজনেস টুলস হতে পারে।
আপনি কি মনে করছেন এটি কেস নয়? আপনার ফেসবুক পেজটি চেঞ্জ করতে আপনি নিতে পারেন এমন এপ্রোপ্রিয়েট অ্যাকশন যার সাথে কনভার্ট না করানোর জন্য আমরা কয়েকটি জেনারেল ইস্যু কম্পাইল করেছি । কয়েকটি স্ট্র্যাটিজি গত টুইটের সাহায্যে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের জন্য আপনার ফেসবুক পেজটিকে আরো ভালো করে তুলতে পারেন।
১. ডিফিকাল্ট পেজ নেম
ফার্স্ট এন্ড ফরএমোস্ট , আপনার পেজটি সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য হতে হবে – সার্চ এবং ডিসকভারি উভয়ের জন্য। একটি ক্লিয়ার ফেসবুক পেজের নাম তৈরি করে শুরু করুন। এটি আপনার বিজনেসের নামের মতোই সহজ হতে পারে।
আপনার মার্কেটিংয়ের ইনস্টিংক্ট এর বিপরীতে, রিলেভেন্ট কীওয়ার্ড এবং ফ্রেজেজ ইনজেক্ট করার জায়গা এটি নয়। ফেসবুকে কীওয়ার্ড স্টাফিং সাধারণত একটি স্প্যাম ফ্ল্যাগ এবং এটি আপনার পেজের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। এডিশনালি , আপনার পেজের নামের সাথে অপ্রয়োজনীয় অক্ষর এড করা এড়ানো।
আপনার পেজের নামটি ক্লিয়ার এবং সিম্পল রাখুন।
২. WWW.FACEBOOK.COM/69598708
আর একটি অ্যাক্সেসযোগ্যতার উপাদান হল আপনার ভ্যানিটি ইউআরএল। আপনি যখন প্রথম নিজের পেজ তৈরি করেন, ফেসবুক অটোমেটিক এটিকে উপরের মত একটি রেন্ডম ইউআরএল এ নির্ধারণ করে। শেষ হওয়ার পরে, আপনার কাছে একটি কাস্টম ইউআরএল বা “username ” সেট করার অপশন থাকবে। আপনি কেবল এটি একবারই করতে পারেন, তাই সাবধানে চুজ করুন।
প্রতিটি ইউজার এর নাম শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি দ্বারা ক্লেইম করা যেতে পারে। আপনার বিজনেস এর নাম ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে এমন ক্ষেত্রে, এমন একটি ইউজার নাম চুজ করুন যা এর পরিবর্তে বেস্ট রিফ্লেক্ট করে।
৩. উইক ব্র্যান্ডিং
অডিয়েন্সদের ইমিডিয়েট আপনার ব্র্যান্ডের ইউনিক ফীচার এবং এট্রিবিউটস আইডেন্টিফাই করতে সক্ষম হওয়া উচিত। পেজ এর প্রোফাইল ইমেজ এবং কভার ইমেজটি এমন দুটি জায়গা যেখানে আপনি ফার্স্ট ইম্প্রেশন দিয়ে এটি সম্পাদন করতে পারেন।
আপনার প্রোফাইল ইমেজ দুটি জায়গায় প্রদর্শিত হবে: সার্চ রেজাল্ট এবং মেইন পেজ । অতএব, আপনার লোগোটিকে প্রোফাইল ইমেজ হিসাবে ইউজ করা গুড প্রাকটিস।
- কভার ইমেজটি শুধুমাত্র আপনার পেজ এ প্রদর্শিত হবে, তবে এটি প্লেসিং এবং বিশিষ্টতার কারণে অনেক অডিয়েন্স ফার্স্ট থিং হিসেবে দেখেন।
- এই ইমেজটিতে আপনার লোগো ইনক্লুড করতে হবে না তবে আপনার ব্র্যান্ড এবং বিজনেস এর সাথে রিলেটেড কিছু থাকতে হবে।
৪. ইনকন্সিস্টেন্ট সিটিএ
আপনার ফ্যানসদের কনভার্ট করার পার্টে আপনি তাদের ঠিক কী করবেন তা সিম্পলি জানান। আপনার পেজের কল-টু-অ্যাকশন বাটনের উদ্দেশ্য হল এমন একটি নির্দেশ যে অডিয়েন্সদের কী করা উচিত। ফেসবুক সাইন আপ থেকে শুরু করে কেনাকাটা করা পর্যন্ত বিভিন্ন অপশন প্রোভাইড করে। আপনার ফ্যানসদের জন্য সবচেয়ে রিলেভেন্ট সিটিএ চুজ করতে ভুলবেন না।
৫. ইগনোরিং পেজ ইনসাইট
ফেসবুক ইনসাইট আপনার পেজের কার্যকারিতা সম্পর্কিত সহায়ক ডেটা প্রোভাইড করে। অডিয়েন্সদের ডেমোগ্রাফিক এবং এনগেজমেন্ট লেভেলে পাশাপাশি ইনসাইটগুলো পার্সোনাল পোস্টগুলোতেও যেমন রিচ করেন এবং এনগেজমেন্ট একশনে মেট্রিকগুলোও প্রোভাইড করে – এমন তথ্য যা আপনাকে ভবিষ্যতে পোস্ট করা কনটেন্ট অপ্টিমাইজ করতে সহায়তা করবে।
৬. বোরিং কনটেন্ট
আপনার অডিয়েন্সদের দ্রুত হারানোর একটি উপায় বারবার একই ধরণের কনটেন্ট পোস্ট করা । এটি শুধুমাত্র বিরক্তিকরই নয় তবে এটি আপনার অডিয়েন্সদের জানায় যে আপনি তাদের কেয়ার করেননা। ফর্ম এবং ফাঙ্কশন এ আপনার কনটেন্ট এর ডাইভারসিটি নিয়ে আসুন।
আপনি কি ধারাবাহিকভাবে শুধুমাত্র ইমেজ পোস্ট করেন? ভিডিও এবং জিপ ফাইল মিক্সিং করার চেষ্টা করুন। আপনার অডিয়েন্সদের আলাদা ভাবে এনগেজ করে এমন কনটেন্ট তৈরি করার জন্য, এই ৩-ফেসটেড এপ্রোচ মেথড গ্রহণ করুন: এডুকেট করুন, এক্সসাইট করুন এবং এন্টারটেইন করুন।
- এডুকেট : সঠিক কনটেন্ট একটি প্রশ্ন বা কনসার্ন সমাধান করবে।
- এক্সসাইট : হেডলাইন দিয়ে আপনার ফ্যানদের এক্সসাইট করুন। তবে, এটি আপনাকে ক্লিকবাট দিয়ে মিথ্যা বলা বা অতিরিক্ত পরিমাণে কিছু করা উচিত হবে না। আপনার হেডলাইন টি মানুষ যথেষ্ট এক্সসাইট করতে পারে যে তারা পোস্টটি পড়বে কিনা।
- এন্টারটেইন : কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার অন্যতম কারণ হিউমার। আপনার ফ্যান সহ মানুষ জন, হাসতে ভালোবাসে। সুতরাং, যেখানে প্রয়োজন হিউমার্স টেকের সাথে ইন্টারেষ্টিং কনটেন্ট প্রোভাইড করুন।
৭. ইগনোরিং ইওর ফ্যান
আরও গভীর লেভেলে আপনার ফলোয়ারদের সাথে সংযোগ স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে, এবং বিশ্বাস আপনার সংস্থার জন্য কমিটমেন্ট এর উত্সাহ দেয়।
আরও গভীর কানেকশনের অর্থ আপনার পেজে কনটেন্ট শেয়ার করে নেওয়ার এবং এটি এনগেজমেন্ট গার্নার্স করার চেয়ে আরও বেশি- এর অর্থ যোগাযোগের জন্য টু ওয়ে স্ট্রিট তৈরি করা। এটি আপনার পেজের অনেক ক্ষেত্রে যেমন ম্যাসেজ এবং কমেন্ট রেসপন্স এর সময় বা তাদের ফীডব্যাক কে উৎসাহিত করার জন্য প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এমন অনেকগুলো অপিনিয়ন কে এনকারেজ করে
৮. আইসোলেট ইওর ফ্যানস
ফ্যানসরা আপনার এবং আপনার পেজের সাথে কমিটেড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যদি তারা মনে করেন যে তারা কোনও কমিউনিটি ইনক্লুডেড। এবং কমিউনিটিগুলো বড় হয় যখন অডিয়েন্সদের মেম্বাররা তাদের ইন্টারেস্ট শেয়ার করে (আপনি!) কানেক্ট হন।
আপনার শেয়ার করা প্রতিটি পোস্টই এই কানেকশনটি স্টাব্লিশড করার সুযোগ রয়েছে। একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং ফ্যানসদের তাদের মতামত সম্পর্কে কথা বলতে উৎসাহিত করে এর সুবিধাটি উপভোগ করুন।
কোনও কমিউনিটি এর লেস অবিয়াস বেনিফিট হল ওয়ার্ড অফ মাউথ। আপনার ফ্যানসরা একবার আপনার কমিউনিটির সাথে জড়িত হয়ে ওঠার পরে তারা তাদের বন্ধুদের হায়ার বা আপনার ব্র্যান্ড শেয়ার করে নেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ওয়ার্ড অফ মাউথ খুবই পাওয়ারফুল। নীলসেনের মতে, ৭৭% অডিয়েন্স নতুন প্রোডাক্ট কেনার সম্ভাবনা বেশি রাখেন যদি তারা ফ্রেন্ড বা ফ্যামিলি এর কাছ থেকে এটি শিখে থাকেন এবং ৯২% অডিয়েন্স ফ্রেন্ড বা ফ্যামিলির সদস্যদের কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন বিশ্বাস করেন অনেক বেশি আর এটি যে কোনও মার্কেটিং ফর্মের চেয়ে বেশি। আপনার ফ্যানসদের এটি ড্রাইভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি যদি নিজের ফেসবুক পেজটি কনভার্ট করতে চান তাহলে আপনাকে ক্রমাগত সেই মানুষদের গিফট করতে হবে যারা এটি ফলো করে দুর্দান্ত কনটেন্ট প্রোভাইড করে এবং একটি নিযুক্ত কমিউনিটি তৈরি করে। এটি করার অসংখ্য উপায় রয়েছে তাই আমরা আশা করি যে তালিকাটি আমরা একসাথে রেখেছি তা দিয়ে আপনি সহজেই শুরু করতে পারেন।
