
এটা আমার অনেক আগের একটা কেস স্ট্যাডি। আপনাদের কাজে লাগবে আশা করছি।
প্রথমে ফেসবুকে নতুন একটি একাউন্ট করেছি। না যা ভাবছেন তা নয়। নাম দিয়েছি আমেরিকান তবে মেয়ের একাউন্ট নয়, ছেলের। তারপর আমি যে নিস টাগেট করেছি সে নিশের একটি পেজ খুলেছি। গোটা কয়েক কোট পোস্ট করেছি পিন্টারেস্ট থেকে নিয়ে। [আমার টি-শার্ট ডিজাইন করা হয়েছে আগেই]
* কোট খুজে পেতে গুগল বা পিন্টারেেস্ট সার্চ দিন : Niche funny quote [উদাহরন : Nurse funny quote]
এবার আমার নিজের টাইমলাইনেও কিছু কোট পোষ্ট করেছি। শুরু করলাম নিশ রিলেটেড গ্রুপে জয়েন করা। তবে সবগুলোতে নয়, যেগুলোতে মেম্বার বেশি এবং ইন্টারএ্যাকশন ভালো। স্প্যামিং নেই বললেই চলে। প্রতিদিন ১০ টি করে গ্রুপে জয়েন করে যাচ্ছি। মোট ৩০ টি গ্রুপে এ্যাপ্রুভ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকলাম।
এবার মার্কেটিং করার পালা। ইউটিউবে গেলাম। আমার নিশ সার্চ দিলাম। লেটেস্ট ভিডিও নিলাম। ডাউনলোড করলাম। আমার পেজে আপলোড দিলাম, বর্ননায় ছোট্ট করে লিখে দিলাম "XYZ Fans? Then this T-Shirt is a must have for you, Buy here : ...Link goes here..."
ব্যাস এবার গ্রুপগুলোতে গেলাম। যেকোন একটি ভালো কোট (Quote) খুজে বের করলাম আগে। কোট পোস্ট করলাম নিচে আমার পেজ এর ভিডিও লিংকটি দিয়ে দিলাম। পাবলিক বুঝতে পারলো না আমি মার্কেটিং করছি। এমন ভিডিও দিয়েছি যাতে তারা উপকৃত হয়।
কখনই আমি বলি না যে টি-শার্ট কিনুন। শুধু কোট মেরে দিয়েছি। ভিডিও প্রচুর শেয়ার হয়। আর বেশি শেয়ার মানেই বেশি সেল 🙂
আর হ্যা, শেয়ার না হলে বা সেল না হলে মন খারাপ করার কোন কারন নেই। আপনি এই নিয়মে কাজ করে যান, কখনই স্প্যামিং করবেন না। ব্যান খাবেন। সেল হবে ইনশাআল্লাহ।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও কোন প্রশ্ন থাকলে গ্রুপেই করুন। ইনবক্সে উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা ৩%
সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ তা'আলা সবাইকে সফলতা দান করুন। আমীন।