কিভাবে একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করবেন
ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ঊর্ধ্বগতি এর কারণে সকল ধরণের উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ নিয়ে আসছে। প্রতিটি ক্যাটেগরিতে অনলাইন সেলস ইনক্রিজ হয়েছে এবং যদি এই ট্রেন্ডগুলো সঠিক হয়, তাহলে এই বিষয়গুলো ইনফিউচার কন্টিনিউ ইনক্রিজ করতে থাকবে।
অনলাইন বিজনেস গুলো উদ্যোক্তাদের অনেক বেনিফিট দেয় এবং এবং ই-কমার্স বেশিরভাগ নতুন বিজনেস ওনারদের একটি ফুল -টাইম কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় ফ্লেক্সিবিলিটি অফার করে। যদিও প্রতিটি উদ্যোক্তা অনলাইনে সাকসেস খুঁজে পান না, আপনার বিজনেস লঞ্চ করার আগে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
আপনি যদি কোনও অনলাইন স্টোর শুরু করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আপনার সাকসেস এর জন্য এই ৮ টি গাইড ফলো করতে পারেন।
একটি ই-কমার্স বিজনেস যেভাবে শুরু করবেন
স্টেপ ১: রিসার্চ এবং প্রিপারেশন
স্টেপ ২: একটি বিজনেস নেম এবং লোগো সিলেক্ট করুন
স্টেপ ৩. বিজনেস স্ট্রাকচার সিলেক্ট করুন
স্টেপ ৪. আপনার স্টোর সেটআপ করুন
স্টেপ ৫. দ্রুত মার্কেটিং শুরু করুন
স্টেপ ৬. আপনার বিজনেস লঞ্চ করুন
স্টেপ ১: রিসার্চ এবং প্রস্তুতি
একজন উদ্যোক্তা সবচেয়ে বড় যে ভুলটি করে থাকেন তা হ’ল সাকসেস এর জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ করতে যথেষ্ট সময় নেন না। একটা আইডিয়া বিল্ড আপ করা মানে মাত্রই শুরু করা, কিন্তু আপনি যে টার্গেট নিয়ে করার আশা করছেন তা আপনাকে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে,আপনি কীভাবে আপনার ফিউচার অডিয়েন্সদের কাছে মার্কেটিং করার প্ল্যান করছেন, আপনার কতজন কম্পিটিটরস আছেন এবং কীভাবে আপনি অনলাইনে সবার সামনে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবেন।
আপনি আপনার বিজনেসের প্ল্যান লিখতে শুরু করার সাথে একটা বিষয় নিশ্চিত হন যে আপনি কিছু কম্পিটিটর রিসার্চ করছেন এবং ইকমার্স ল্যান্ডস্কেপ বুঝতে পেরেছেন। ভাল করছে এমন কোম্পানিগুলো বা আপনি পছন্দ করেন এমন কোম্পানিগুলো খুঁজে বের করুন। আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড এবং বিজনেস ক্রিয়েট করা ভার্সেস মার্কেটপ্লেস মার্চেন্ট হয়ে ওঠার প্রস এবং কনসগুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
রিসার্চ এর উপর ভিত্তি করে আপনার নিশ সিলেক্ট করা আপনার সাকসেস এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিশের মার্কেটিং প্রায়ই সাকসেস এবং ফেইলিওর এর মধ্যে পার্থক্য ক্রিয়েট করে। আপনার রিসার্চ শুরু করুন এবং মার্কেট এরিয়াগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন :
- আন্ডার সার্ভড
- কিছু এফিলিয়েট মার্কেটিং অপর্চুনিটিজ প্রোভাইড করে
- লো কম্পিটিশন
আপনার নিশ রিসার্চ এর অংশ হিসাবে, সিউর হয়ে নিন যে আপনি আপনার বায়ার পার্সোনা আইডেন্টিফাই করেছেন। আপনার আইডিয়াল কাস্টমার কে হবেন তা বুঝে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করুন যা ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অ্যাড তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়ক।
স্টেপ ২: একটি বিজনেস নেম এবং লোগো সিলেক্ট করুন
আপনি আপনার রিসার্চটি শেষ করার পরে, বিজনেস এর নাম চুজ করুন ও আপনার লোগো ক্রিয়েট করুন এবং আপনার বিজনেসকে কোন বিষয়টা আলাদা করে তোলে তা সনাক্ত করার এখনই সময়। এটি আপনার বিজনেস ক্রিয়েট করার অন্যতম আকর্ষণীয় পার্ট । আপনার নামটি সামনে আসার জন্য এখানে কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে :
- আপনার নাম ইউজ করুন
- একটি সংক্ষিপ্ত রূপ রাখার চেষ্টা করুন
- লোকেশন এর বিষয়ে চিন্তা করুন
- অনুপ্রেরণার জন্য লিটারেচার বা পপ কালচার ইউজ করুন
- গেট ডেস্ক্রিপটিভ
- ডিকশনারি থেকে আরো মিনিংফুল ওয়ার্ড চুজ করুন
- মিসপেলিং ইউজ করুন
আপনি যখন আপনার বিজনেসের জন্য নাম সেটেল করে ফেলেছেন ,তাই এখন আপনার লোগো, ব্র্যান্ড কালার এবং ব্র্যান্ড পার্সোনালিটি নিয়ে বেইনস্ট্রোমিং শুরু করুন। আপনি সিরিয়াস নাকি ফান এবং উইমসিকল? আপনি যদি ডিজাইনার না হন তার মানে আপনার লোগোটি ক্রিয়েট করার বিষয়ে গ্রাফিক ডিজাইনার হায়ার করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
স্টেপ ৩: বিজনেস স্ট্রাকচার সিলেক্ট করুন
আপনি কি এখন এক্সসাইটেড এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি, তার মানে এখন একটু পেপারওয়ার্ক করার সময় ! আপনার বিজনেসের অবস্থান যেখানেই থাকুক না কেন একটি উপযুক্ত বিজনেসের কাঠামো স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আপনার নতুন বিজনেসের জন্য বেশ কয়েকটি অপশন রয়েছে। আপনি নিচের কাঠামোর একটি সেট আপ করতে পারেন:
- সোল প্রোপাইটরশিপ
- এলএলসি
- পার্টনারশিপ (যদি আপনার বিজনেস পার্টনার থাকে)
- কর্পোরেশন
অন্যান্য ধরণের বিজনেস এন্টিটিজ রয়েছে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ই-কমার্স বিজনেসগুলোর জন্য উপরের ৪ টি সবচেয়ে কমন বিষয় রয়েছে। আপনি যদি অনিশ্চিত থাকেন তবে সঠিকভাবে আপনার কোম্পানিটি স্থাপনে সহায়তার জন্য একজন অ্যাটর্নি এর সাথে যোগাযোগ করুন যাতে আপনি সেল শুরু করতে পারেন!
ইউ এস এর মধ্যে নেই ? কোনো প্রব্লেম নেই। একটি বিজনেস শুরু করার জন্য প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব কিছু রিকোয়ারমেন্ট সেট রয়েছে। আপনার নতুন বিজনেসের প্রোডাক্ট সেল শুরু করার আগে আপনার রিসার্চ টি কনফার্ম করে নিন এবং আপনার দেশের জন্য যথাযথ কাগজপত্র ফাইল করে নিবেন।
স্টেপ ৪: আপনার স্টোর সেটআপ করুন
অনলাইন স্টোর সেটিং করার ক্ষেত্রে নতুন বিজনেস ওনারদের কাছে অনেক এক্সসাইটিং কিছু অপশন থাকে। ড্রপশিপিং অপশনগুলো দ্রুত এবং সহজ কিছু সুবিধাও রয়েছে যেমন ইনভেন্টরি স্টোরেজের প্রয়োজন হয় না এবং সেটআপ ব্যয় খুব কম হয়। গিয়ারলঞ্চ সেলাররা আমাদের অ্যাপটিতে সাইন আপ করার পার্ট হিসাবে কাস্টমার সার্ভিস এনজয় করে থাকেন। আপনি যে প্ল্যাটফর্মটি চুজ করুন না কেন, প্রায়ই এটি আপ এবং রানিং হতে কয়েক মিনিট সময় নেয়।
স্টেপ ৫: দ্রুত মার্কেটিং শুরু করুন
আপনি মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার স্টোর এবং বিজনেস ডকুমেন্টস সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজের প্রথম প্রডাক্টি বিক্রি করার আগে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সেট আপ করে নিতে পারেন। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নতুন বিজনেস প্রতিষ্ঠার জন্য কিছুটা আলাদা প্রসেস থাকে তবে এটি সিম্পল এবং আপনি প্রায় কয়েক মিনিটের মধ্যে সেট আপ করে নিতে পারেন।
তারপরে, মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এবং আপনি কীভাবে আপনার অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছাতে চান সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা শুরু করুন। কোন প্রডাক্টি শীঘ্রই আসছে তা আপনি আপনার অডিয়েন্সদের জানাতে পারেন এবং কী ডিজাইনগুলো তারা পছন্দ করেন বা কোন প্রোডাক্টগুলো আপনি দেখতে চান সে সম্পর্কে ইনপুট দিতে পারেন।
অবশেষে, ইমেইল মার্কেটিং এবং অটোমেশন সেট আপ করুন। আপনার স্টোরে আপনার অডিয়েন্সদের পুনরায় নিয়ে আসার একটি বেস্ট ওয়ে হলো ইমেইল। এটি এমন অডিয়েন্সদের কাছে ডিরেক্ট অ্যাক্সেস দেয় যারা আপনার প্রোডাক্টগুলোতে ইতিমধ্যে তাদের ইন্টারেস্ট বিল্ডআপ করেছে এবং এটি আপনার বিজনেস তৈরির এবং নতুন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য একটি দুর্দান্ত টুলস। আপনি যখন ইফেক্টিভ ইমেইল লিস্টটি ক্রিয়েট করে ফেলতে পারেন, আপনি নিজেকে সাকসেস এর জন্য অলরেডি সেট আপ করছেন।
স্টেপ ৬: আপনার বিজনেস লঞ্চ করুন
এটি একটি ফান পার্ট ! আপনার বিজনেসের সবগুলো বিষয় একবার সেট আপ হয়ে যাওয়ার পর এবং রেডি করার পরে, এখন সময় আপনার বিজনেস লঞ্চ করার ! আপনি লাইভে যাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি কীভাবে আপনার প্রোডাক্টগুলোর দাম নির্ধারণ করছেন এবং আপনার ডিজাইনগুলোর স্পেসিফিক টার্গেট রয়েছে এবং আপনি কপিরাইট রিলেটেড কোনো ধরণের কোনো প্রব্লেম এ নেই যা আপনার নতুন বিজনেসটিকে সমস্যায় ফেলতে পারে।
এখন, লাইভে যান !
স্টেপ ৭: টেস্ট, রিফাইন, রিপিট
আপনার অনলাইন বিজনেসের কাজ মাত্রই শুরু হলো। এখন আপনার আইডিয়া এবং ডিজাইনগুলো নিয়ে টেস্ট চালিয়ে যাওয়ার, আপনার ম্যাসেজ রিফাইনিং করার এবং প্রসেসটি রিপিট করা পর্যন্ত আপনার বিজনেসের জন্য কী কাজ করে তা ডিসকভার করুন ।
স্টেপ ৮: কাজের প্রতি পেশেন্ট থাকুন
অনেক উদ্যোক্তা খুব দ্রুত নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। আপনার অডিয়েন্স এবং ব্র্যান্ড তৈরি করতে সময় এবং ধৈর্য লাগবে। আপনার প্রচেষ্টায় অবিচল থাকুন এবং আপনার ক্র্যাফট রিফাইন করুন এবং লার্নিং চালিয়ে যান। সর্বাধিক সফল ই কমার্স বিজনেস গুলো রাতারাতি বাড়েনি, এবং আপনার কিছুটা টিএলসি অবশ্যই লাগবে।
জাস্ট দ্যা বিগিনিং !
আপনার নিজের অনলাইন স্টোরটি খোলার বিষয়টা যতটা এক্সসাইটিং আবার পাশাপাশি এটি একটি চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়াও হতে পারে। আপনার সাকসেস আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা আশা করি আপনি আপনার বিজনেস শুরু করতে আমাদের রিসোর্সগুলো সহায়ক বলে মনে করেন।
শুরু করার সর্বোত্তম ওয়ে হল শুরু করে দেয়া এবং জার্নিটা উপভোগ করা!
প্রশ্ন আছে ? আমাদের সেলার সাপোর্ট স্টাফ দের একটি ইমেইল পাঠান এবং তারা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরে খুশি হবে।
আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু করতে প্রস্তুত?
আমরা হেল্প করতে পারি! গিয়ার লঞ্চ আপনার স্টোর সেট আপ করা অনেক সহজ করে তোলে। আমাদের ফুল সার্ভিস প্ল্যাটফর্মটি অনেক ই কমার্স বিজনেস ওনারদের কাছে জনপ্রিয় এবং প্রোডাক্ট গুলোতে অনেক ডাইভারসিটি প্রোভাইড করে।