TOP 15 MARKETING QUESTION WILL BE YOUR GAME CHANGER IN 2020.(PART-1)
উ:
একজন মার্কেটার হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই চাই সফল হতে।
কিন্তু সফল হওয়ার পিছনে, একটি পাওয়ারফুল স্ট্রাটেজি ডেভেলপ করা এবং সফলভাবে তা এক্সিকিউট করার প্রয়োজন হয়।
আপনি আপনার স্ট্রাটেজি কিভাবে বিল্ড করছেন?
অনেক রিসার্চের পর, ১৫ টি এমন প্রশ্ন পাওয়া গেছে, যা আপনার স্ট্রাটেজি বিল্ড করতে সাহায্য করবে।
চলুন দেরি না করে সোজাসুজি চলে যাই……
১. What’s your value preposition?
ব্যাখ্যা: প্রথমেই প্রশ্ন আসবে, value preposition মানে কি? খায় নাকি মাথায় দেয়!
Value preposition হলো, “আপনি আপনার ক্রেতাকে এমন কি ভ্যালু (সার্ভিস) বেশি দিচ্ছেন, যা আপনার কম্পিটিটর দিচ্ছে না। কেনো আপনি অন্যদের চেয়ে আলাদা? নিজেকে প্রশ্ন করুন, যদি উত্তর পেয়ে যান ওটাই আপনার value preposition. “
উদাহরণ : ২০১৬ তে মুকেশ আম্বানির Jio আসার পূর্বে, ১৮ টি+ সিম কোম্পানি ছিলো ইন্ডিয়ার মার্কেটে ।
জিও এমন কি করেছিলো যার কারনে ১ বছরের শেষ তারা মোট মার্কেট শেয়ারের ৫৬% দখল করেছিল?
তারা মাত্র ৩০০ টাকায় ৯০ দিনের জন্য ১৮০ জিবি মোবাইল ডেটা + আনলিমিটেড কল দিচ্ছিলো। যা অই সময়ে ইন্ডিয়ান মার্কেটে কেউ দিচ্ছিলো না।
আশা করি value preposition কি বুঝতে পেরেছেন।
২. Who is your target customer?
ব্যাখ্যা :
যদি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কে?
আমার উত্তর হবে, “আমি একজন ডিজিটাল মার্কেটার, লেখক, ভ্রমনপিপাসু, রাধুনী, পাঠক ও শ্রোতা। “
এখন আপনি আমার সবগুলো ইন্টারেস্ট কে টার্গেট করে করে আমার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না।
ধরূন, আপনার একটি ট্রাভেল এজেন্সি আছে, আপনি আমার মতো ১০০ জন ভ্রমনপিপাসু মানুষকে টার্গেট করে সঠিকভাবে নিজেকে মার্কেট করতে পারেন।
তাহলে ১০০ জনে ৭০-৮০ জন আপনার সার্ভিস টি নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
এবং এটাকে বলা হয় segmentation.
৩. What buyer personas are you using?
মার্কেটিং হলো সঠিক মানুষকে সঠিক মেসেজটি দেয়া।
ধরুন আপনি আপনার টার্গেট কাস্টমার সেগমেন্ট পেয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে আপনি আপনার মেসেজটি ডেলিভার করবেন (এটা ক্যাম্পেইন হতে পারে) ?
তখন ই চলে আসে persona.
Pesona বের করার আগে ৫ টি বিষয় মাথায় রাখতে হয় :
ক.কাষ্টমার ও তার ইন্টারেস্ট
খ. তার চাহিদা বা needs.
গ. তার লক্ষ্য বা Goal
ঘ. তার বাধা সমূহ
ঙ. তার অনুপ্ররনা সমুহ।
এই পাচটি বিষয় এনালাইসিস করে আপনি ক্রেতার persona বের করতে পারেন।
(Persona নিয়ে আরো জানতে চাইলে নিচে কমেন্ট করুন, ইনশাল্লাহ এটা নিয়েও কিছু লিখবো)।
৪. Who is your competitior?
একজন সফল মার্কেটার হতে হলে অবশ্যই নিজের কম্পিটিটর সম্পর্কে একটি বিশাল ধারণা রাখতে হবে।
ক. কম্পিটিটরদের ভ্যালু পিপজিশন কি
খ. তারা কিভাবে এ্যাক্ট করছে
গ. তাদের কাস্টমাররা কিভাবে এ্যাক্ট করছে।
ঘ. তাদের ফিউচার প্লান কি হতে পারে।
ঙ. আপনার ভ্যালু পিপজিশন সিলেক্ট করা, আপনি কিভাবে আলাদা ও বেশি ভ্যালু দিচ্ছেন তা নিশ্চিত করে আগানো।
৫. What is your objectives?
আমরা তো অনেকেই goal ঠিক করি, কিন্তু objective সেট করি না। আজই আপনার অবজেক্টিভটি লিখে দেয়ালে টাংগিয়ে ফেলুন।যেমন :
Goal : To be best ecommerce company in Bangladesh.
কিন্ত এখন অবজেক্টিভ নির্ধারণ করতে হবে।
Objective : Generate 1 million sales or successful order in Q4 2020.অব্জেক্টিভ হতে হবে : measurable, attainable and Time specific.
৬. What are your important metrics?
মার্কেটিং হলো বিজ্ঞান, একজন মার্কেটার এর বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে ডিশিসন নিতে হয়। তো এখন প্রশ্ন হতে পারে ১০০ পেইজ তথ্য উপাত্ত রয়েছে আমার কাছে, আমি কি সব ই এনালাইজ করবো?
না, এতো এনালাইজ করার সময় নেই। আমি বেসিক্যালি একটি ফর্মুলা ইউজ করি ” AARRR ” ফর্মুলা। এটার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মেট্রিক্স এনালাইজ করতে পারবেন :
Acquisition : conversion rate, Cost per acquisition(CPA)
Activation : Customer lifetime Value (CLV)
Retention : email open rate
Referral: Affiliate Growth Rate
Revenue: Compound monthly or annual growth rate.
৭. What are your touchpoints ??
একজন কাস্টমারের জার্নিতে আমরা ৫ টি স্টেজ দেখতে পাই।
শুরুর দিকটা খানিকটা বড় হলেও, ধীরে ধীরে তা নিচে নামতে থাকে।
EX:
Awareness create —> 90 people.<———TOP
Interest———————–> 70
Desire—————->50
Action————>35
Advocay->15 <————– BUTTOMধরুন, আমি আপনার প্রোডাক্টটি নিলাম, এর পিছনে কিছু ঘটনা ঘটেছে – হয়তো আমি প্রোডাক্টির ব্যপারে কারো না কারো কাছ থেকে জেনেছি, ওয়েবসাইট, ব্লগ বা কারো রিকোমেন্ডশনে।
তো এটা হচ্ছে আমার buying journey. তেমনি আপনি যখন জানতে পারবেন, আপনার কাস্টমারের buying journey তখন বুঝতে পারবেন কিভাবে বা কোন টাচপয়েন্টে কাজ করলে আপনার কাস্টমারকে BUTTOM এর দিকে পুশ করতে পারবেন।
৮. What is your priorities?Marketing পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের নানা নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট করে, ধীরে ধীরে ইম্পলিমেণ্ট করতে হয়।
যেমন :
Facebook add campaign
Youtube Marketing
Reddit marketing
Instragram marketing
এখানে একেক জনের ক্ষেত্রে একেকটি সুট করে, যেমন:
কারো যদি facebook marketing এ কাজ হয়, এটা এই মিন করে না যে (সবার ই কাজ হবে) ।
হয়তোবা কারো ক্ষেত্রে youtube মার্কেটিং কাজ হতে পারে।
সেজন্য আপনার প্রাইরেটি ঠিক করা লাগবে।
আর এজন্য রয়েছে #ICE বা বরফ ফর্মুলা বা বরফ ফর্মুলা :
Name —>Impact(I) —–>Confident(c)—>Ease(E)—->ICE
Fbads—-> 6——————–>5—————–>3 ———>14
Infulencer–> 6—————->4————>7——————->17
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে স্কোর করবেন?
Impact—> আপনার goal আ্যাচিভকরার জন্য কতোটা ইম্যাপ্ট করেছে FB ads সেটার স্কোর করবেন – ০ হলে কোন চেইঞ্জ হয় নি ১০-হলে গেইম চেইঞ্জার।
Confident :
আপনি fb ads নিয়ে কতোটা কনফিডেন্ট সফল হবে, সেটাই স্কোর করবেন।
যেমন:০ হলে কনফিডেন্স ০ আর ১০ হলে গেইমচেইঞ্জার
Ease:
এখানে(০-১০) মার্ক হলো এই কাজগুলো করতে কতোটুকু ইজি আপনার জন্য। ০ হলে খুবই কঠোর, ১০ হলে একেবারে ইজি।
এভাবে সব আইডিয়া লিস্ট ডাউন করবেন এবং এদের ICE বা বরফ বের করে, দেখতে পারেন আপনার প্রাইরেটি।
৯. What stage is your business standing :
যেমনি করে একজন মানুষের লাইফ সাইকেল থাকে (জন্ম থেকে মৃত্যু) , তেমনি একটি প্রোডাক্টের লাইফ ও থাকে থাকে।
একজন মার্কেটার হিসেবে আপনাকে product life cycle এ ধারণা রাখতে হবে
Maturity
Growth Decline
Intution.
Development
যেমন :
- Developing and intution stageএ প্রচুর ইনভেস্ট করার দরকার হয়।
- Growth: এই স্টেইজ এ আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে মানুষ অবগত হয় এবং ধুমসে বিক্রয় বাড়তে শুরু করে।
- Maturity: এই সময়ে সেইলস increase হয় না, মার্কেট সেচুরেট থাকে।
- Decline:আপনার প্রোডাক্টের ভ্যালু আস্তে আস্তে কমতে থাকে, তাই সেলস ও কমতে থাকে।
আগামী পর্বে বাকি গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে ইনশাল্লাহ। আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে, নিচে কমেন্টে জানান (ইনশাল্লাহ রিপ্লে দিবো)।