৫ টি ট্রেইটস যা সাকসেস্ফুল ইকমার্স বিজনেসগুলি শেয়ার করে
সাকসেসফুল ইকমার্স বিজনেসগুলি শুধুমাত্র ভাগ্যের ওপর গড়ে উঠে না। যে কোনও মুহুর্তে, কমপক্ষে এক ডজন কম্পেটিটর একই প্রোডাক্ট নিয়ে যার বৈশিষ্ট, দাম এবং কোয়ালিটি এর মধ্যে খুব কম ভিন্নতা আছে তা নিয়ে কনসিউমারদের এট্রাক্ট করতে চান। তাও কিছু মানুষ আছেন যারা এর মধ্যেই কম্পিটিশনে এগিয়ে থাকেন। তাদের কি অন্যদের থাকে আলাদা করে ?
আমাদের ভাগ্য ভালো এই গিয়ারলঞ্চ প্লাটফর্ম এ আমরা অনেক বিজয়ী কে দেখেছি যারা একটি সিম্পল আইডিয়া থেকে শুরু করে অনেক বড় সাকসেস্ পেয়ে ফেলেছেন এবং আমরা তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য যা তারা সকলেই শেয়ার করেন সেগুলো বের করেছি। আপনাদের হেল্প করার জন্য আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ গুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরবো আমাদের লিস্ট এর মাধ্যমে যেখানে ৫ টি ট্রেইটস যা সাকসেস্ফুল ইকমার্স বিজনেসগুলি শেয়ার করে দেয়া থাকবে।
১. দে লুক দ্যা পার্ট
“বইয়ের কভার দেখে কোনো বইকে বিচার করতে নেই” । দুর্ভাগ্যক্রমে এই ট্রোপ এতো বেশি প্রসারিত হয়নি যে সব ব্র্যান্ড কভার করতে পারে। আপনার ব্র্যান্ডকে রিপ্রেসেন্ট করার জন্য যে বিবরণ আপনি দিয়ে থাকেন – তার কালার, ওয়ার্ড চয়েস এবং ইমাজেরি – এইগুলো সব আপনার ভাবনা চিন্তার ওপর ডিপেন্ড করে। এইটা কোয়ালিটি প্রোডাক্ট অফার করার জন্য যথেষ্ট না।
এই পার্ট টি সব থেকে সাকসেসফুল ব্র্যান্ড নিয়ে নেন। তাদের অসাধারণ ওয়েবসাইটে আছে ডিটেইলড প্রোডাক্ট পেইজে ছবি সহ। শুধু এই প্রর্যন্ত করেই তারা থেমে নেই। তাদের ব্র্যান্ডিং প্রতিটি সোশ্যাল চ্যানেল এ কন্সিস্টেন্ট থাকে।
নোয়া কে এক্সাম্পল হিসেবে নেন। তাদের ওয়েবসাইটে একটি পরিষ্কার থিম আছে যা তাদের ক্লোথিং এবং ডিসাইন দ্বারা বুঝা যায়।
একই ভাবে তাদের ইন্সট্রাগ্রাম তাদের সিমপ্লিসিটি ধরে রেখেছে যেটা তাদের মার্চ ই বলে দেয়।
২. দে আর এ মার্কেট ফিট
যে প্রোডাক্টগুলো মানুষ কিনতে চায় সেগুলো সেল করা অনেক ইম্পরট্যান্ট। কনসিউমাররা যেন আপনার কাছ থেকে কিনতে সক্ষম এবং ইচ্ছুক থাকে। এইটা স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড মনে হতে পারে কিন্তু অনেক বিজনেস রেগুলারলি ফেইল হয় শুধু মাত্র তারা তাদের প্রোডাক্ট মার্কেট ফিট ডিফাইন করতে পারেন না বলে।
সিবি ইনসাইটস রিপোর্ট থেকে পাওয়া যায় যে ৪২% স্টার্টআপ ফেইল হয়েছে তাদের খারাপ মার্কেট ফিট এর কারণে। এইখানে এত ইনফরমেশন এবং ইনসাইটস আছে যে এইটা ধারণা করা ভুল হবে যে তাদের স্টার্টআপ ঠিক কিভাবে রিসার্চ করে শুরু করা হয় নি। তবে মূল বিষয় হলো একটি ইনিশিয়াল আইডিয়াকে ভালোভাবে মার্কেটে মানিয়ে নেয়ার এ্যাবিলিটি থাকা।
এক্সাম্পল এর জন্য আমরা এভারল্যান দেখতে পারি যা একটি অনলাইন ক্লোথিং রিটেইলার ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কনসিউমাররা “সোশ্যালি রেস্পন্সিবল কোম্পানিস ” এ স্থান পরিবর্তন করার কারণে এভারল্যান বুঝে গিয়েছিলো যে তাদের কিছু অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে হবে। আর তারই ফলাফল হলো আজ এভারল্যান কে সবই চিনে এবং ভালোবাসে।
এভারল্যান প্রোডাক্ট ব্রেকডাউন অফার করে যেন কাস্টমাররা প্রোডাকশন কস্ট দেখতে পারেন আবার ইনভ্যাইরোনমেন্টালি এবং সোশ্যাল রেস্পন্সিবল ফ্যাক্টরিস এ ভার্চুয়াল ভিসিটও করতে পারেন।
৩. দে বিল্ড এনগেজড কমিউনিটিস
সব সাকসেসফুল বিজনেস জানে যে রিপিট কাস্টমারদের থেকে নতুন কাস্টমার পেতে বেশি খরচ হয়। কারণ অনেক ইকমার্স বিজনেস তাদের ডিকেড থেকে চলে আসা ব্র্যান্ড লয়াল্টি এর ওপর ডিপেন্ড করতে পারে না যা তাদের মেগা রিটেইলার কাউন্টারপার্টস এস্টাব্লিশড করেছে , কিন্তু এনগেজড কমিউনিটি বিল্ড করা অনেক ক্রিটিকাল।
কমিউনিটি বিল্ডিং এর ভালো কেস পাওয়া যাবে ব্ল্যাক মিল্ক ক্লোথিং এ, যেই ব্র্যান্ডটি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট এর জন্য ফেমাস। তারা তাদের ফেইসবুক পেইজে অনেক এনগেজ কমিউনিটি হোস্ট করলেও আসল ম্যাজিক হয় ফেইসবুক গ্রুপ এ।
এই গ্রুপ গুলো ক্রিয়েট এবং ম্যানেজ করে পুরো পৃথিবীর সার্কিস (ব্ল্যাক মিল্ক ফ্যানস) রা মিলে। তারা ব্ল্যাক মিল্ক এর পপুলারিটি শক্তিশালী ও লালন করতে সহায়তা করে। যা আমরা আগেও মেনশন করেছি যে গ্রুপগুলি হ’ল ফেসবুক অ্যালগরিদমকে বীট করতে আপনার ব্র্যান্ডের সেরা বেট।
৪. দে কেয়ার এবাউট কাস্টমার সার্ভিস
অনলাইন শপিং আপনার প্রোডাক্টকে কনসিউমার এর হাতে সব থেকে দ্রুত গতিতে পৌঁছে দেয়। যার আরেকটি অর্থ হলো কনসিউমাররাও আপনার কাছে বেশি তাড়াতাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। আজকের শপাররা আর আপনার বলার জন্য অপেক্ষা করে না যে তারা কি কিনবে। তারা তাদের নিজেরদের রিসার্চ করেন এবং তাদের বায়ার জার্নিও কন্ট্রোল করেন, এবং যদি তাদের এক্সপেরিয়েন্স এ কোনো প্রব্লেম হয় তাহলে সেটিও বলে ফেলেন -বিশেষ করে তারা অসন্তুষ্ট হলে আরো জোর গলায় তা প্রচার করেন।
সাকসেস্ফুল অনলাইন বিজনেস জানে যে কাস্টমার রা তাদের প্রাণশক্তি এবং একটি পজিটিভ কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স কতটা জরুরি। যে কোম্পানি গুলো তাদের কাস্টমার দের কেয়ার করবে তারাই জিতবে। এইটা শুনতে সিম্পল মনে হলেও এইখানে কনসিউমারদের প্রশ্নগুলি আগে থেকে প্রেডিক্ট করতে হয়, মাল্টিপল টাচ পয়েন্ট আয় করতে হয় ,এবং প্রচুর অপ্রত্যাশিত সমস্যার সমাধান করতে হয়।
আমাদের এক্সসেপশনাল কাস্টমার সার্ভিস এর উদাহরণ হলো যাপ্পোস। এই অনলাইন সু এবং ক্লোথিং রিটেইলাররা তাদের দাম এবং প্রোডাক্ট এ পার্টিকুলার কোনো স্পেশাল অফার করেন না। তাও য্যাপ্পোস তাদের প্রথম ১০ বছরের মধ্যে $১ বিলিয়ন হিট করে এবং ২০১৫ সালে তাদের অ্যানুয়াল রেভিনিউ তে $২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
যাপ্পোস এর সিক্রেট হলো হ্যাপি কাস্টমার। তারা কোন পর্যন্ত যেতে পারেন শুধু মাত্র তাদের কাস্টমারদের খুশি করার জন্য এইটা জাস্ট চেক আউট করেন। ইন ফ্যাক্ট, ৭৫% য্যাপ্পোস পারচেজ হয় রিপিট কাস্টমার থেকে।
৫. দে আর রেজিলিয়েন্ট
একটা সাকসেসফুল বিজনেসকে দেখে ভাবা যে তাদের বিজনেস সব সময় স্মুথ সিলিং এইটা অনেক সহজ। যাইহোক প্রতিটি কোম্পানি একটি কঠিন পথ অতিক্রম করে। এমনকি জেট ব্লু, পেপসি, ইউনাইটেডের মতো জায়ান্টরাও পথে পথে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছিল। যারা ভালো তারা রিকভার করে এবং আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে।
আমেরিকান এ্যাপারেল কে দেখেন এক্সাম্পল হিসেবে।২০১৬ সালে দেউলিয়ার জন্য ফাইল করে, ১১০ টি স্টোর বন্ধ করে দেওয়ার পরে আমেরিকান এ্যাপারেল কামব্যাক করার জন্য প্রিপারেশন নেন। ইনভেন্টরি ছোট করে , সেক্স আপিল এ্যাপ্রোচ গুলো ক্লিন করে ,নতুন ডিজিটাল স্ট্যাস্টির্জি টেস্ট করে এবং কাস্টমারদের ফিডব্যাক শুনে ,আমেরিকান এ্যাপারেল ২০১৭ সালে ২০০ টি দেশে ইকমার্স ব্র্যান্ড হিসেবে রিলঞ্চ করে।