আপ সেলিং এবং ক্রস-সেলিং এর মাধ্যমে রেভিনিউ কিভাবে ইনক্রিজ করা যায়
অনলাইন স্টোরের জন্য নিউ কাস্টমার এট্ট্রাক্ট করা অনেক কস্টলি এবং টাইম কনসুমিং। অনলাইন রিটেইলের একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে যে ৪০% রেভিনিউ আসে মাত্র ৮% বায়ার থেকে। নতুন কাস্টমার খোঁজার থেকে কারেন্ট কাস্টমারের কাছে মার্কেট করলে খরচ অনেক কম হয়। এবং এই সময় আপসেলিং এবং ক্রসসেলিং টেকনিক কাজে আসে।
ক্রস সেলিং ভার্সেস আপসেলিং
এই দুইটি টেকনিক প্রায় ইউজ করা হয় পার্চেজের সময় কাস্টমারদের বেশি টাকা স্পেন্ড করতে এনকারেজ করার জন্য। ক্রসসেলিং এবং আপসেলিং প্রায়ই সেইম ট্রানজেকশনে ইউজ করা হয় এবং আপনার কাস্টমারদের ওভারঅল বাস্কেট সাইজ ইনক্রিজ করার জন্য এইটা অনেক ইফেক্টিভ।
ক্রস সেলিং কি?
ক্রসসেলিং হচ্ছে সেলের একটি ট্যাকটিক যা অনেক অনলাইন স্টোর ইউজ করে কাস্টমারদের ভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে রিলেটেড বা কমপ্লিমেন্টারি প্রোডাক্ট সাজেস্ট করার জন্য। কাস্টমাররা যখন একটা আইটেম তাদের শপিং কার্টে এড করে তখন প্রায়ই একটা পপ-আপ শো করে অন্য আইটেমের, যে আইটেম গুলো কাস্টমার পার্চেজ করেছেন তার ওপর বেস করে। এইটা আপনার স্টোরফ্রন্টের অন্য ক্যাম্পেইন গুলোর সিমিলার ট্যাগের ওপর বেস করে করা হয়। আপনার যদি সিমিলার ট্যাগের ক্যাম্পেইন রান না করা থাকে তাহলে ওভারঅল পপুলারিটি এর ওপর বেস করে তা করা হবে।
![HOW TO INCREASE REVENUE WITH UPSELLING AND CROSS-SELLING 1 9 7](https://gearlaunchbangladesh.com/wp-content/uploads/2021/04/9-7.png)
সাকসে্স ফুল ক্রসসেলিং এর কী হচ্ছে, যে প্রোডাক্টগুলো একসাথে মানায় সেই প্রোডাক্টগুলো সাজেস্ট করা। যদি আপনি টি-শার্ট সেল করেন তাহলে একটি ভালো ক্রসসেলিং হবে হ্যাট। অন্য দিকে টি-শার্ট সিলেকশনের পর ক্যানভাস ওয়াল আর্ট সাজেস্ট করা আপনার অডিয়েন্সদের জন্য বোধগম্য হবে না।
আপসেলিং কি?
আপসেলিং হচ্ছে সেলের একটি ট্যাকটিক যা সেলাররা ইউজ করে সামান্য হায়ার প্রাইসড আইটেম বা বেটার কোয়ালিটির প্রোডাক্ট কাস্টমারদের কাছে রেকমেন্ড করতে। প্রায়ই এই আইটেম গুলো আপগ্রেড করা হয় বা প্রিমিয়াম আইটেম যেগুলো কাস্টমাররা বেশি পছন্দ করে। যদি ঠিক ভাবে করা হয় তাহলে রিটেইলারদের সাথে কাস্টমারদের একটা ট্রাস্ট বিল্ড হয়ে যায় কারণ তারা কোয়ালিটি প্রোডাক্ট একটা ভালো প্রাইসে পাচ্ছেন।
কাস্টমাররা আপনার স্টোর থেকে প্রোডাক্ট পার্চেজ করার পরও এমন হতে পারে। এটি একটি টিপিক্যাল রেকমেন্ডেশন যা আপনার একই ক্যাম্পেইনের ভিন্ন প্রোডাক্ট অ্যাভেই্লেবেল আছে কিনা তার ওপর বেস করে করা হয়। স্ট্যান্ডার্ড আপসেল এর জন্য আপনি যেকোনো ক্যাম্পেইন পেজে ডিসকাউন্ট এমাউন্ট সেট করে দিতে পারেন। ইন-কার্ট আপসেলও অনেক পপুলার আর এটা আপনার স্টোরফ্রন্টে একই ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট অ্যাভেই্লেবেল আছে কিনা তার উপর বেস করে।
আপসেলিং অ্যান্ড ক্রস সেলিং বেস্ট প্রাক্টিসেস
পুরো সেলস প্রসেসের সময় কাস্টমারদের মাথায় রাখা এবং আপনার আপসেল বা ক্রসসেলিং স্ট্র্যাটিজির মাধ্যমে ভ্যালু প্রভাইড করা অনেক ইম্পরট্যান্ট। কাস্টমাররা মানি সেভ করতে ভালোবাসে তাই তারা ইন্ডিভিজ্যুয়াল শিপিং কোস্ট এভোয়েড করতে প্রোডাক্ট বান্ডিলের মাধ্যমে একটা বড় পারচেজ করতে পারবেন কিনা সেটা পয়েন্ট আউট করে দেয়া ভালো।
বিফোর পারচেজ / ইন -কার্ট আপ সেল: একটি কমন প্রাকটিস হলো চেক আউটের পূর্বে কাস্টমার রেকমেন্ডেশন আপনার প্রোডাক্ট পেজে শো করানো। কাস্টমাররা আপনার ক্যাটাগরিতে ব্রাউজ করার সময় অন্য আইডিয়া দেখতে পছন্দ করেন।
এক্সাম্পল :
![HOW TO INCREASE REVENUE WITH UPSELLING AND CROSS-SELLING 2 10 7](https://gearlaunchbangladesh.com/wp-content/uploads/2021/04/10-7.png)
ডিউরিং পার্চেজ : পপ-আপস বা ডিসপ্লে রেকমেন্ডেশন্স চেক আউটের সময় ইউজ করুন, যখন তারা শপ করবে বা অ্যাবান্ডেন্ট কার্ট পেজে থাকবে।
এক্সাম্পল :
![HOW TO INCREASE REVENUE WITH UPSELLING AND CROSS-SELLING 3 11 7](https://gearlaunchbangladesh.com/wp-content/uploads/2021/04/11-7.png)
আফটার পার্চেজ: কারো সাথে সম্পর্ক রাখার একটি ভালো উপায় হলো ফলো-আপ ইমেইল, এইটা আপনার কাস্টমারদের রিমাইন্ড করে দিবে যেন তারা এসে আবার পারচেজ করতে পারেন এবং তাদের কাছে নতুন প্রোডাক্ট ইন্ট্রোডিউস করুন। পার্চেজের পর আপনি আইটেমের ওপর অফার দিতে পারেন এইটা আপনার কাস্টমারদের এনকারেজ করবে তাদের পারচেজ এমাউন্ট বাড়াতে।
এক্সাম্পল :
![HOW TO INCREASE REVENUE WITH UPSELLING AND CROSS-SELLING 4 12 7](https://gearlaunchbangladesh.com/wp-content/uploads/2021/04/12-7.png)
![HOW TO INCREASE REVENUE WITH UPSELLING AND CROSS-SELLING 5 13 7](https://gearlaunchbangladesh.com/wp-content/uploads/2021/04/13-7.png)
আপনার বিজনেস অনেক ভালো চলবে যদি আপনি কিছু কমন সেলস ট্যাকটিক মেনে চলতে পারেন। কারেন্ট কাস্টমারদের সাথে একটি ভালো রিলেশনশিপ ক্রিয়েট করলে তারা বারবার ফিরে আসবেন এবং আপনার বিজনেসের জন্য তাদের লাইফ টাইম ভ্যালু বাড়বে। নতুন কাস্টমারদের তুলনায় আপনাকে অনেক কম মার্কেটিং ডলার স্পেন্ড করতে হবে কারেন্ট কাস্টমারদের হ্যাপি রাখতে এবং তাদের শপিং এক্সপেরিয়েন্স আরো সুন্দর করে তুলতে।