মহামারী চলাকালীন “ইকমার্সের” অবস্থা।
মহামারী দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবটি এখনই হয়তো সম্পূর্ণ-ভাবে বোঝা সম্ভব নয় কিন্তু অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহক-দের একটি বেশ উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে এটা বলাই চলে। কিছু ব্রিক এন্ড মর্টার স্টোর হয়তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো যেখানে অন্য নাম-করা বড় বিজনেসগুলো নিজেরাই সামঞ্জস্য করে নিয়েছেন নিজেদের মধ্যে এবং তারা বরং গ্রাহক-দের অনলাইনে কেনা-কাটা করতে বেশি উৎসাহিত করেছেন। যেখানে বেড, বাথ এর সাথে রিলেটেড প্রোডাক্টগুলোতে ২০২০ এর দ্বিতীয় চতুর্থাংশে এসে অনলাইন এ কেনা-কাটা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
শুধু-মাত্র অনলাইন বেসড বিজনেস গুলোর জন্যে এটি আসলে খুব ভালো খবরই বলা চলে।গ্রাহক-দের এই অনলাইনে বিক্রয়ে উৎসাহিত হওয়ার বিষয়টি সরাসরি কোভিড -১৯ এর ফলাফল বলা যায় এবং অনলাইনে এটি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। রিসার্চ করা ডেটা থেকে একটি সম্ভাবনা দেখা যায় যে,২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ব-জুড়ে খুচরা বিক্রয় ২২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইকমার্স পারফরম্যান্সের পরিসংখ্যান –
বছরের পরিক্রমায় ইকমার্স বা বিজনেসগুলো বন্ধ হওয়া বা আবার নতুন করে শুরু হওয়ার স্পাইক গুলোর মাঝে ডিরেক্ট কোরিলেশন রয়েছে । যেমন,কোভিড পরবর্তী বছরের প্রথম অংশে বেশ পরিমান অডিয়েন্স বাসায় বসে অর্ডার করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছিলো এবং পরবর্তী-তে জুলাই মাসে অনলাইনের খুচরা বিক্রয় কিছুটা হ্রাস পায় কারণ ধীরে ধীরে অনেক গুলি স্টোর আবার খোলা শুরু হয়েছিল এবং খুচরা পর্যায় সেল বাড়তে থাকে।
সামগ্রিকভাবে, স্ট্যাটিস্টা এর রিপোর্ট অনুযায়ী অনলাইন গ্রাহক-দের খরচ ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে ১২.৭ শতাংশ থেকে ২০২০ এর প্রথমার্ধে ১৮.৬ শতাংশ (লিঙ্ক) পর্যন্ত এ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাহলে প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর ক্ষেত্রে এটা কি অর্থ বহন করে?
অনলাইন এ প্রোডাক্ট বিক্রি করার এতো বড় সুযোগ এর আগে কখনো আসেনি বা পণ্য বিক্রি শুরু করার সুযোগ আর কখনও এইভাবে আসেনি ।চলমান মহামারীর এই অনিশ্চয়তার মধ্যে অনেক অনেক বেশি গ্রাহকরা তাদের অনলাইনে পণ্য কেনার অভ্যাস স্থায়ী ভাবে পরিবর্তন করতে পারেন এবং করছেন।
২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর কুদিনি কর্তৃক পরিচালিত একটি জরিপে শপিং সম্পর্কে মার্কিন ভোক্তাদের মতামত এবং ৪৭% গ্রাহক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে তারা মহামারীর এই সময়টাতে দীর্ঘ সময় দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে কেনা কাটা নিয়ে খুব চিন্তিত বরং তারা অনলাইনে কেনা কাটা করতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
কেনা কাটার বিষয়ে জেনারেশন লেভেল এর প্রতিক্রিয়া
চলমান মহামারী সম্পর্কে প্রতিটি প্রজন্মেরই খুব বেশি আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া ছিল যেখানে তাদের শপিংয়ের অভ্যাস এর বিষয়টাও আমরা অন্তর্ভুক্ত রাখতে পারি। কিন্তু এই তথ্যটি ক্রমাগতই পরিবর্তনশীল, আমরা এখনও পর্যন্ত যেটি জানি।
জেন -জি এবং মিলেনিয়ালস
রিসার্চ করা তথ্যের মতে যে,তরুণ প্রজন্ম এর পারচেজিং বেহেভিওর এবং শপিং হ্যাবিটস পরিবর্তন করার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। ডেটা দেখায় যে মিলেনিয়ালস এবং জেন -জি প্রজন্ম তাদের বাজেট ,আইটেম স্টক করা এর পিছনেই সব-চেয়ে বেশি স্পেনড করছে এবং সব-চেয়ে কম স্পেনড করছে অভিজ্ঞতায়।
জেন -এক্স এবং বুমার্স
অবাক হওয়ার মতো কিছুই নেই যে স্বাভাবিক ভাবেই, পুরানো প্রজন্মের শপিং হ্যাবিটস পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম এবং করোনাভাইরাস সম্পর্কেও তারা কম চিন্তিত। আপনার গ্রাহক কারা হবে সেটা বিবেচনা করলে আপনি তরুণ প্রজন্মতেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য আশা করতে পারেন।
আপনার গ্রাহক কোন প্রজন্মের বা কোন প্রজন্ম নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটা বিবেচনা করলে আপনি তরুণ প্রজন্মের কাছেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য আশা করতে পারেন। জেন -জি এবং মিলেনিয়ালস ইতিমধ্যে অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়ে খুবি আগ্রহী,করার সম্ভাবনাও বেশি এবং চলমান মহামারী তরুণ প্রজন্মের বাসায় থাকার প্রবণতা যেমন টা বাড়িয়েছে তেমনি অনলাইনে কেনাকাটার ইচ্ছেও বাড়িয়েছে বেশ।
তাহলে এটা আপনার জন্য কি মানে বহন করে?
আপনি কি নিজের ডিজাইন অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করবেন ভাবছেন বা ইতিমধ্যে আপনার একটি শপও আছে ,একটা তথ্য দিতে চাই যে আপনাকে এই ২০২০-২০২১ হল ইকমার্স সাফল্যের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময়। আপনি চাইলেই এখন খুঁজে বের করতে পারেন সেই ট্রেন্ডস পয়েন্ট গুলো, যা নতুন বছরের জন্য সবচেয়ে এক্সসাইটিং