কীভাবে আপনার পণ্যগুলির মূল্য নির্ধারণ করবেন তার কিছু কৌশল
পুরানো বা নতুন উভয়ই ক্ষেত্রেই একজন সেলার পণ্যের সঠিক দাম নির্ধারণের জন্য স্ট্রাগল করে থাকে। প্রাইজিং কেবলমাত্র আপনি কতটা তৈরি করবেন তা প্রভাবিত করে না বরং আপনার স্টোর আপনার প্রতিযোগীদের তুলনায় কতটুকু পরিমাণ সাফল্য অর্জন করবে তার উপর নির্ভর করে।
দাম সম্পর্কে অনুমান করা নিশ্চিত ভাবে বড় কিছু ভুল করা যা পরবর্তীতে আপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে । এই আর্টিকেল এ মূল্য নির্ধারণের কিছু বেসিক ধারনা দেওয়া হবে এবং এমন কিছু টিপস দেয়া হবে যা আপনাকে আপনার স্টোরের জন্য সঠিক দামগুলি নির্ধারন করতে সহায়তা করবে ।
প্রথম ধাপ- পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করুনঃ
মূল্যের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে আপনার পণ্যের ব্যয় নির্ধারন করা। এটি আপনার পণ্য তৈরি করতে যে পরিমান খরচ হয় তার মোট মূল্য। নিচে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা হল।
ডিজাইন কস্ট: আপনি যে ডিজাইন সেল করার চিন্তা করবেন তার দ্বারা ডিজাইনের দাম কে ভাগ করে ডিজাইন ব্যয় নির্ধারণ করতে পারেন । আপনি যদি মাত্রই শুরু করেন এবং অনিশ্চিত যে কতগুলো ডিজাইন আপনি বিক্রয় করবেন, তবে আপনি আপনার ব্যয় নির্ধারণ করতে পারবেন ডিজাইন দাম ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে, নুন্যতম সংখ্যক ডিজাইন বিক্রয় করতে হবে, এবং তা নির্ধারণ করার জন্য আপনার লাভের মার্জিনের মাধ্যমে ডিজাইন দাম কে ভাগ করে আপনি মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন ।
যদি আপনি নিজেই ডিজাইন তৈরি করেন, তাহলে এখন এটি আপনার জন্য উপযুক্ত সময় আপনার প্রতি ঘন্টার হার কি হবে তা নির্ধারণ করুন এবং ডিজাইন এ আরও বেশি সময় দিন, বিক্রি করতে চান এমন ডিজাইন তৈরি করতে আপনার কত ব্যয় করতে হবে তার উপর ভিত্তি করে একটি ধারণা চলে আসবে।
প্রোডাকশন কস্ট: প্রিন্ট অন ডিমান্ডের অন্যতম সেরা অংশ হ’ল ওয়ারহাউস কস্ট। আপনাকে প্রোডাক্ট কোথায় রাখবেন এবং শিপিং নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হবেনা। প্রতিটি পণ্যের একটি বেস কষ্ট থাকে, সুতরাং আপনি যখন দাম নির্ধারণ করেন তখন আপনাকে তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
গ্রাহকরা ফ্রি শিপিং পছন্দ করেন এবং একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৮৮% গ্রাহক অনলাইনে বেশি সপিং করেন যদি আপনি ফ্রি শিপিং অফার করেন! এটা আপনার জন্য কি মানে বহন করে? যদি আপনি ফ্রি শিপিংয়ের অফার দেন তবে আপনার প্রোডাক্টের কষ্ট বেশি হবে, কিন্তু আপনি যদি বেশি পণ্য বিক্রয় করতে পারেন তবে এটি ব্যালেন্স হতে পারে।
ট্যাক্স :গ্রাহকরা যেখানে থাকেন তার উপর ভিত্তি করে ট্যাক্স আদায় হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ৪% থেকে ১০% এবং ইউরোপে 17% থেকে 27% হতে পারে। আপনার গ্রাহক অর্ডার দেওয়ার আগে তাঁরা কিভাবে অর্থ প্রদান করবেন তা নির্ধারণ করা কিছুটা জটিল কারণ আপনি জানেন না যে তারা কোথায় থাকেন। যদি ট্যাক্স বা ভ্যাট এর জন্য আপনার গ্রাহকদের প্রত্যাশার বাইরে পণ্যটির মূল্য হয় তবে এই ব্যয়গুলি আপনার প্রাইসিং এর মধ্যে যেতে পারে।
প্ল্যাটফর্ম ফি: আপনি যেই প্ল্যাটফর্মটা ব্যাবহার করছেন সেই বাবদ একটা চার্জিং থাকে। গিয়ারলঞ্চ প্ল্যাটফর্মটিতে কোনও ফি নেওয়া হয় না তাছাড়া শপিফাই একটি ফ্রি ভার্সন । আপনি যদি নিজের শপিফাই প্ল্যাটফর্ম আপগ্রেড করেন তবে এর সাথে মাসিক চার্জ যুক্ত হবে । আপনি নিজের পণ্যের দাম নির্ধারণ করার সাথে সাথে সেই কস্টিং গুলো মাথায় রাখতে হবে ।
দ্বিতীয় ধাপ: প্রাইসিং স্ট্রেটেজি নির্ধারণ
আপনি এখন আপনার ব্যয়গুলি সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন, তাই এখন আপনার মূল্য নির্ধারণের কৌশল বেছে নেওয়ার সময়। মূল্য নির্ধারণের জন্য 7 টি পন্থা রয়েছে এবং আপনি এখানে প্রতিটি কৌশল সম্পর্কে আরও ধারনা নিতে পারেন। স্ট্রেটেজি গুলো হল:
- কীস্টোন প্রাইসিং
- মাল্টিপল ইউনিট প্রাইসিং
- ডিসকাউন্ট প্রাইসিং
- লস লিডার প্রাইসিং
- সাইকোলোজিক্যাল প্রাইসিং
- বিলো বিলো কম্পিটিশন প্রাইসিং
- এবোভ কম্পিটিশন প্রাইসিং
- কীস্টোন প্রাইসিং
স্ট্রেটেজি গুল বিবেচনা করার সাথে ৫ টি গুরুত্তপুর্ন এলিমেন্ট মনে রাখা উচিত যাতে করে প্রোফিট বেশি করার সম্বাব্যতা বেরে যাবে। সেগুলো হলঃ
- অবশ্যই মার্কেট রিসার্চ করতে হবে
- বাজেটিং এবং অ্যাকাউন্টিং এর বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে
- রেভিনিউ এর জন্য গোলস সেট করুন.
- কম্পিটিটিভ এনালাইসিস করুন.
- পরবর্তী প্ল্যান করুন
সফল ব্যবসায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রোডাক্ট প্রাইসিং, সেই কারনে সময় নিয়ে রিসার্চ করে তারপরে সেটি ফাইনাল করা উচিত।
তৃতীয় ধাপ: প্রোফিট মার্জিন অ্যাড করা
যখন আপনার সকল কস্টিং সম্পর্কে আইডিয়া হয়ে যাবে তখনি আপনি প্রোডাক্ট প্রাইস সেট করতে পারবেন এবং এই সময়েই আপনাকে প্রোফিট মার্জিন সেট করে ফেলতে হবে। পুরো মার্কেট সম্পর্কে আইডিয়াটাও এখানে মাথায় রাখতে হবে যেন আপনার প্রাইসিং কম্পিটিটরদের থেকে বেশি না হয়ে যায় এবং এভাবেই আপনি ফাইনাল রিটেইল প্রাইস সেট করতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপ: অন্যান্য কষ্ট বিবেচনা করা
আপনার স্টোরটি চালাতে যে নির্দিষ্ট মাসিক খরচ লাগে তা ভুলে যাবেন না! আপনার ব্যবসা পরিচালনার সাথে সম্পর্কিত যদি অন্য কোনও ব্যয় থাকে তবে অবশ্যই আপনার মূল্য নির্ধারণের আগে আপনি এগুলি অ্যাড করে নেবেন । যেমন ওয়েবসাইট হোস্টিং বা আপনার ডোমেনের জন্য অর্থ প্রদানের সাথে আপনার ব্যয় থাকতে পারে। আপনি আপনার অন্যান্য ব্যয়গুলো হিসেব করার পরে, আপনার প্রফিট মার্জিন দিয়ে এটি ভাগ করলে পেয়ে জাবেন কত ইউনিট সেল করলে আপনার ব্রেক ইভেন আসবে। এই অবস্থায় এসে আপনার প্রোডাক্ট প্রাইস পুনরায় অ্যাডজাস্ট করতে হতে পারে।
পঞ্চম ধাপ: নিয়মিত দামগুলি পর্যালোচনা করাঃ
আপনার বিজনেস বারার সাথে সাথে আপনার প্রাইসিং স্ট্রেটেজিও চেঞ্জ হবে। প্রতিনিয়ত প্রাইসিং রিভিউ করতে হয় যেন কাস্টমারের জন্য এবং বিজনেস গোলের জন্য জেটা ভাল হবে সেটা বের করা যায়। সময়ের সাথে সাথে ডাটাও বারতে থাকবে যেটা আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে ভবিষ্যতের জন্য।
গিয়ারলঞ্চ টিপস
আপনার স্টোর এর প্রোডাক্ট প্রাইসিং এর জন্য আমাদের গিয়ারলঞ্চ টপ টিপস গুলো দেখে নিতে পারেন:
টিপস # 1: আপনার রেভিনিউ বারানোর অন্যতম সফল উপায় হচ্ছে আপসেলিং। এটা মনে রাখা উচিত
যদি কোন প্রোডাক্টের প্রাইস বেশি হয় তাহলে আপসেলের পরিমানও বেশি হতে হয় এবং যদি প্রোডাক্টের প্রাইস কম হয় তাহলে আপসেলের পরিমানও কম হবে। কিভাবে গিয়ারলঞ্চে আপসেল দিতে পারবেন সেটা সিখে নিতে এখানে ক্লিক করুন।
টিপস # 2: একটি কুপন কোড ব্যবহার করতে পারেন গ্রাহকদের ফ্রি শিপিং, পারসেন্ট ডিস্কাউন্ট অথবা কিছু ডলার পরিমাণ ডিস্কাউন্ট দেয়ার জন্য। সকল কাস্টমারই অফার পছন্দ করে।
টিপস #3: ক্রস সেল! গিয়ারলঞ্চের মাধ্যমে এটি খুব সহজে করা যায় । ক্যাম্পেইন গুলো আপনার গ্রাহকদের জন্য চেকআউট স্ক্রিনে অটোমেটিক্যালি দেখানো হয়ে থাকে। আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের মধ্যে সিমিলার সব ডিজাইন একসাথে দেখাতে পারেন। “ইম্পালস বায়িং” সবচেয়ে বেশি কাজ করে যখন আপনি এমন আইটেমগুলিকে দেখান যেখানে আপনার গ্রাহক ইতিমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এখন, আপনি যা শিখেছেন তা এক সাথে রাখুন এবং আমাদের নিফটি স্প্রেডশিটটি চেক করে দেখুন! আপনি কী করছেন তা বুঝতে এটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার নম্বরগুলিতে প্লাগ করুন। আপনি আপনার পণ্যগুলির জন্য কীভাবে সঠিক দাম নির্ধারণ করবেন তা শিখতে এটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।